ডাঃ মোঃ হাফিজুর রহমান (পান্না), রাজশাহী:>>>
রাজশাহীতে গ্রচ- গরমে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানা গেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত কয়েকদিনে বেড়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েই হাসপাতালে রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রামেক হাসপাতালের তথ্যমতে, মেডিসিন ও শিশু বিভাগে সবচেয়ে বেশি রোগীরা ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মেডিসিনের চারটি ইউনিটে নারী-পুরুষ মিলে প্রায় হাজার খানেক রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যাদের মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জার, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা ও হাঁপানি রোগীর সংখ্যা বেশি। আর বর্তমান সময়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২১০ থেকে ২৩০ জনে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে শিশু গিয়ে দেখা যায়, তিল পরিমাণে জায়গা নেই শিশু ওয়ার্ডের তিনটি ওয়ার্ডে। শিশু ওয়ার্ডের তিনটি ওয়ার্ড মিলে প্রায় ছয় শতাধিক রোগী নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যার মধ্যে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ভাইরাল র্টি-বার, বসন্তের রোগী রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি রোগী রয়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিন প্রায় ৫০-৬০ জন শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রোগী ভর্তি হচ্ছে।
রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা মাহাবুবুর রহমান খান বাদশা জানান, গরমের কারণে কোন রোগ হয় না। প্রচ- গরমে রোদে থাকলেও কোন অসুখ হয় না। কিন্তু গরম থেকে শান্তি পেতে মানুষ যে শরবত, পানি, আখের রস খায় তাতেই জীবানু বেশি থাকে। ছোট বড় সকলকে এ থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এ সময় মানুষের অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। গরমে জীবানুর মাত্রা বেড়ে যায়। এসময় বিশেষ করে ইনফ্লুয়েঞ্জার, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ার প্রবণতা বাড়ে। কেউ ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক অবস্থায় স্যালাইন খেতে হবে। আক্রান্ত হলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে নিতে হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment